দেশবাংলা প্রতিদিন ডেস্ক: কৃষি মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী এমপি বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলেই দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়। তাই আমাদেরকে খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতা ধরে রাখতে হবে। তিনি বলেন, কৃষিকে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়া করাতে না পারলে দেশের উন্নয়ন ব্যাহত হবে। তাই কৃষির উন্নয়নে তথ্য প্রযুক্তি কাজে লাগাচ্ছে বর্তমান সরকার। আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর খামারবাড়ীস্থ আ. কা. মু. গিয়াস উদ্দিন মিলকী অডিটোরিয়ামে কৃষি সম্প্রসারণের উদ্ভাবিত ৩টি সেবা অর্থাৎ এসকল মোবাইল অ্যাপ ভিত্তিক সেবার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রাম এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানেরে আয়োজন করে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ হামিদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আব্দুল্লাহ্, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক শেখ ইউসুফ হারুন, এবং এটুআই প্রোগ্রামের পলিসি এ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী।
কৃষিমন্ত্রী মোবাইল অ্যাপ ভিত্তিক তিনটি সেবা কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এগুলো উদ্ভাবন করেছেন তিনজন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। ‘বালাই নাশক নির্দেশনা’ সুকল্প দাস, ‘কৃষকের জানালা’ আব্দুল মালেক ও ‘কৃষকের ডিজিটাল ঠিকানা’ নামে সেবাটি শাহাদাত হোসেন সিদ্দিকী উদ্ভাবন করেন। অনুষ্ঠানে এই তিন কর্মকর্তাও তাদের অনুভুতি ব্যক্ত করেন।
বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, এসকল মোবাইল অ্যাপ ভিত্তিক সেবাগুলোকে কৃষকের দৌরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে। এমনিতেই আমাদের কৃষক নিজেরাই উদ্ভাবন করেন। তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে দেশে যে পরিমাণ জমি ছিল, বর্তমানে তার থেকে জমির পরিমাণ অনেক কমে গেছে। তারপরও আমাদের খাদ্যে ঘাটতি নেই। মতিয়া চৌধুরী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা তুলে ধরে অনুষ্ঠানে আরও বলেন, যুদ্ধ বিধ্বস্থ একটা দেশে কৃষির উন্নয়নের মাধ্যমেই সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন তিনি। এমন একটা সময় ছিল, যখন ঢাকা থেকে টাঙ্গাইলের পথে ২৮টি ভাঙ্গা ব্রিজ ছিল। আমরা সকালে রওনা হয়ে রাতে টাঙ্গাইল পৌঁছাতাম। এই ছিল অনেক আগেকার অবস্থা। কিন্তু বর্তমানে নতুন প্রজন্ম তা শুনলে বলে, এসব বানিয়ে বলি। এটাই সত্যি। এই অবস্থার মধ্যেই বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছেন। বর্তমানে তাঁরই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।